ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

১৫ ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরে বসা থাই এয়ারওয়েজের যাত্রীরা, রোগী ও বৃদ্ধদের চরম ভোগান্তি

সি আর ডি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

থাই এয়ারওয়েজ

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
Site Logo
12 June, 2025
Featured Image
১৫ ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরে বসা থাই এয়ারওয়েজের যাত্রীরা, রোগী ও বৃদ্ধদের চরম ভোগান্তি
desh xpress
বিস্তারিত কমেন্টে
QR Code
desh xpress

যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে থাইল্যান্ডের ব্যাংককগামী থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (টিজি-৩৪০) বুধবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাড়তে পারেনি। ফলে দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে বসে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফ্লাইটের যাত্রীরা।

যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই রোগী ও তাদের স্বজন। চিকিৎসার জন্য তারা ব্যাংকক যাচ্ছিলেন। এত দীর্ঘ অপেক্ষা ও অনিশ্চয়তা তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

ফ্লাইটের যাত্রীরা জানান, ফ্লাইটটি বুধবার মধ্যরাত ২ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের কথা ছিল। এজন্য তারা রাত ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তবে ইমিগ্রেশন শেষ করে প্লেনে উঠার আগে তারা জানতে পারেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ফ্লাইটটি আপাতত ছাড়ছে না। প্রায় ১৫-১৬ ঘণ্টা ধরে সবাই ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছেন।

ফ্লাইটের যাত্রী আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, গতকাল হঠাৎ আমাদের বলা হলো ফ্লাইট ছাড়ছে না। ফ্লাইটটি ত্রুটি সারিয়ে কখন ছাড়বে সেবিষয়ে কিছু জানায়নি। যোগাযোগের জন্য ৩ টি নাম্বার দিয়েছে। এর মধ্যে ২ টিই বন্ধ। তৃতীয় নম্বরটি কেউ ধরে না। যে যার মতো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কোন নির্দেশনা নাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হলেও কর্তৃপক্ষের কেউ সামনে এসে সঠিক তথ্য দেননি, বা বিকল্প ফ্লাইটের কোনো আশ্বাসও দেননি।

ফ্লাইটের অধিকাংশ যাত্রীই চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। আমিও আমার স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় আমাদের ডাক্তারের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ছিল। আমরা সেটা মিস করেছি। আমরা তাদের বার বার অনুরোধ করেছি আমাদের অন্য কোন ফ্লাইটে যাত্রার ব্যবস্থা করে দিতে। তারা করেননি। আমাদের সঙ্গে কোন ধরণের যোগাযোগও করছেন না।

ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ হুইলচেয়ারে, কেউ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। বিমানবন্দরে তাদের বিশ্রামের পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা নেই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে থাই এয়ারওয়েজের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজারের অফিসিয়াল নম্বরে ফোন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা থেকে পৌনে ২ টা পর্যন্ত ছয়বার বার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কয়েকবার ফোনে ব্যস্ত পাওয়া গেছে, কয়েকবার তিনি রিং বাজলেও তিনি ধরেননি।সর্বশেষ দুপুর পৌনে ২ টা পর্যন্ত যাত্রীদের ফ্লাইটের বিষয়ে কোন আপডেট জানানো হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১৫ ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরে বসা থাই এয়ারওয়েজের যাত্রীরা, রোগী ও বৃদ্ধদের চরম ভোগান্তি

আপডেট সময় : ০৩:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
Site Logo
12 June, 2025
Featured Image
১৫ ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরে বসা থাই এয়ারওয়েজের যাত্রীরা, রোগী ও বৃদ্ধদের চরম ভোগান্তি
desh xpress
বিস্তারিত কমেন্টে
QR Code
desh xpress

যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে থাইল্যান্ডের ব্যাংককগামী থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (টিজি-৩৪০) বুধবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাড়তে পারেনি। ফলে দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে বসে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফ্লাইটের যাত্রীরা।

যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই রোগী ও তাদের স্বজন। চিকিৎসার জন্য তারা ব্যাংকক যাচ্ছিলেন। এত দীর্ঘ অপেক্ষা ও অনিশ্চয়তা তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

ফ্লাইটের যাত্রীরা জানান, ফ্লাইটটি বুধবার মধ্যরাত ২ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের কথা ছিল। এজন্য তারা রাত ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তবে ইমিগ্রেশন শেষ করে প্লেনে উঠার আগে তারা জানতে পারেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ফ্লাইটটি আপাতত ছাড়ছে না। প্রায় ১৫-১৬ ঘণ্টা ধরে সবাই ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছেন।

ফ্লাইটের যাত্রী আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, গতকাল হঠাৎ আমাদের বলা হলো ফ্লাইট ছাড়ছে না। ফ্লাইটটি ত্রুটি সারিয়ে কখন ছাড়বে সেবিষয়ে কিছু জানায়নি। যোগাযোগের জন্য ৩ টি নাম্বার দিয়েছে। এর মধ্যে ২ টিই বন্ধ। তৃতীয় নম্বরটি কেউ ধরে না। যে যার মতো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কোন নির্দেশনা নাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হলেও কর্তৃপক্ষের কেউ সামনে এসে সঠিক তথ্য দেননি, বা বিকল্প ফ্লাইটের কোনো আশ্বাসও দেননি।

ফ্লাইটের অধিকাংশ যাত্রীই চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। আমিও আমার স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় আমাদের ডাক্তারের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ছিল। আমরা সেটা মিস করেছি। আমরা তাদের বার বার অনুরোধ করেছি আমাদের অন্য কোন ফ্লাইটে যাত্রার ব্যবস্থা করে দিতে। তারা করেননি। আমাদের সঙ্গে কোন ধরণের যোগাযোগও করছেন না।

ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ হুইলচেয়ারে, কেউ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। বিমানবন্দরে তাদের বিশ্রামের পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা নেই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে থাই এয়ারওয়েজের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজারের অফিসিয়াল নম্বরে ফোন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা থেকে পৌনে ২ টা পর্যন্ত ছয়বার বার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কয়েকবার ফোনে ব্যস্ত পাওয়া গেছে, কয়েকবার তিনি রিং বাজলেও তিনি ধরেননি।সর্বশেষ দুপুর পৌনে ২ টা পর্যন্ত যাত্রীদের ফ্লাইটের বিষয়ে কোন আপডেট জানানো হয়নি।