ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

ঝাঁজ বাড়ছে পেঁয়াজের ভোক্তার ক্ষোভ

সি আর ডি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৪:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
Site Logo
22 April, 2025
Featured Image
ঝাঁজ বাড়ছে পেঁয়াজের ভোক্তার ক্ষোভ
desh xpress
বিস্তারিত কমেন্টে
QR Code
desh xpress

সামনে আসছে ঈদুল আজহা। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই সরব হতে শুরু করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সুযোগ বুঝে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। নানা অজুহাতে এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। প্রতি সপ্তাহেই দেদারসে বাড়ছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। আর এতে ক্ষোভ বাড়ছে ভোক্তাদের মনে।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম এক সপ্তাহ আগে সূত্রাপুর বাজার থেকে দুই কেজি পেঁয়াজ কেনেন ১০০ টাকায়। কিন্তু গতকাল সোমবার একই বাজার থেকে ফের দুই কেজি পেঁয়াজ কেনেন। তবে এবার দাম পড়েছে ১৩০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা।

ক্ষোভ জানিয়ে তিনি কালবেলাকে বলেন, গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ কিনলাম ৫০ টাকায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে গেল। দেশে কী এমন হলো। শুধু যদি পেঁয়াজের দামই বাড়ত তাহলেও হতো। সয়াবিন তেল, চাল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়তি। এভাবে চললে মধ্যবিত্তদের সংসার চালানো মুশকিল হবে। রমজান মাসে সবকিছু মোটামুটি স্বাভাবিক ছিলে; কিন্তু এখন আবারও পুরোনো চক্র সক্রিয় হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার, নিউমার্কেট, মালিবাগ, রামপুরাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৪০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা কেজিতে, যা গত সপ্তাহে ছিল সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কেজিতে।

এদিকে সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া এবং শ্যামবাজার ঘুরে দেখা যায়, নিম্নমানের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ একেবারে কম। ফলে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। এ সুযোগে বেড়েছে দামও।

শ্যামবাজারের খুচরা ও পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, চাষিদের ক্ষেতেই পেঁয়াজের দাম বেশি। ফলে তাদের বেশি দর দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

একই বাজারের আড়তদার শাহী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ কিনতে আমাদের বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ফলে চাইলেও কমে বিক্রি করতে পারছি না। পেঁয়াজের দাম বেশি থাকলে বিক্রিও কমে যায়। এতে আমাদের ব্যবসাও কম হয়।

পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মারুফ মিয়াজী বলেন, আড়তদারের কাছ থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনেছি। কমে বেচব কেমন করে।

এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে খুচরা ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলেও একই তথ্য পাওয়া যায়। যারা পেঁয়াজ চাষ করেন তাদের কথার সুরও প্রায় একই রকম। তারা জানান, যত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে, তা সব তোলা শেষ। জমিতে আর পেঁয়াজ নেই।

তবে অভিযোগ রয়েছে, মজুতদাররা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রেখেছেন। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দাম আরও বাড়ানো চিন্তা থেকে এখনই কাজটি করছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঝাঁজ বাড়ছে পেঁয়াজের ভোক্তার ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৩:৫৪:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
Site Logo
22 April, 2025
Featured Image
ঝাঁজ বাড়ছে পেঁয়াজের ভোক্তার ক্ষোভ
desh xpress
বিস্তারিত কমেন্টে
QR Code
desh xpress

সামনে আসছে ঈদুল আজহা। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই সরব হতে শুরু করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সুযোগ বুঝে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। নানা অজুহাতে এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। প্রতি সপ্তাহেই দেদারসে বাড়ছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। আর এতে ক্ষোভ বাড়ছে ভোক্তাদের মনে।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম এক সপ্তাহ আগে সূত্রাপুর বাজার থেকে দুই কেজি পেঁয়াজ কেনেন ১০০ টাকায়। কিন্তু গতকাল সোমবার একই বাজার থেকে ফের দুই কেজি পেঁয়াজ কেনেন। তবে এবার দাম পড়েছে ১৩০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা।

ক্ষোভ জানিয়ে তিনি কালবেলাকে বলেন, গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ কিনলাম ৫০ টাকায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে গেল। দেশে কী এমন হলো। শুধু যদি পেঁয়াজের দামই বাড়ত তাহলেও হতো। সয়াবিন তেল, চাল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়তি। এভাবে চললে মধ্যবিত্তদের সংসার চালানো মুশকিল হবে। রমজান মাসে সবকিছু মোটামুটি স্বাভাবিক ছিলে; কিন্তু এখন আবারও পুরোনো চক্র সক্রিয় হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার, নিউমার্কেট, মালিবাগ, রামপুরাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৪০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা কেজিতে, যা গত সপ্তাহে ছিল সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কেজিতে।

এদিকে সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া এবং শ্যামবাজার ঘুরে দেখা যায়, নিম্নমানের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ একেবারে কম। ফলে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। এ সুযোগে বেড়েছে দামও।

শ্যামবাজারের খুচরা ও পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, চাষিদের ক্ষেতেই পেঁয়াজের দাম বেশি। ফলে তাদের বেশি দর দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

একই বাজারের আড়তদার শাহী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ কিনতে আমাদের বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ফলে চাইলেও কমে বিক্রি করতে পারছি না। পেঁয়াজের দাম বেশি থাকলে বিক্রিও কমে যায়। এতে আমাদের ব্যবসাও কম হয়।

পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মারুফ মিয়াজী বলেন, আড়তদারের কাছ থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনেছি। কমে বেচব কেমন করে।

এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে খুচরা ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলেও একই তথ্য পাওয়া যায়। যারা পেঁয়াজ চাষ করেন তাদের কথার সুরও প্রায় একই রকম। তারা জানান, যত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে, তা সব তোলা শেষ। জমিতে আর পেঁয়াজ নেই।

তবে অভিযোগ রয়েছে, মজুতদাররা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রেখেছেন। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দাম আরও বাড়ানো চিন্তা থেকে এখনই কাজটি করছেন তারা।