ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ওয়েস্টার্ন গ্রুপ ও কাতার এয়ারওয়েজের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত কুয়াকাটায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ সহায়তায় দিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এনসিপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে অ্যাডভোকেট শাহিন পটুয়াখালীতে নাগরিক প্লাটফর্মের সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়া সাব-রেজিস্ট্রার কাজী নজরুল ইসলামের সেবায় খুশি সেবাগ্রহীতাগণ কলাপাড়ায় আয়কর আইনজীবী মনিরের অফিসের কার্যক্রম চালু মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য : প্রধান উপদেষ্টা Jubo Dal leader Liton leads Jubo Dal protest march in Patuakhali ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না মিরপুর ভূমি অফিসে ‘প্রয়োজনে আমাকে ধরে নিয়ে বুকে গুলি চালায় দেন’

ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না মিরপুর ভূমি অফিসে

সি আর ডি নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ ১০৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
36

নিজস্ব প্রতিবেদক :দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি অফিসগুলোর অন্যতম হচ্ছে ভূমি অফিস। ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতি ও হয়রানির যেন সীমা পরিসীমা নেই। ঘুষ ছাড়া এই অফিসে কোন সেবা পাওয়া মুশকিল। দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর কর্মকর্তা কর্মচারী ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে সেবা প্রার্থীরা রীতিমত অসহায়। ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতি চলছে প্রকাশ্যে।ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ সম্পাদন করেছে কেউ, এমন খবর শোনা যায় খুব কমই। ভূমি রেজিস্টেশন, নামজারি, ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি কর, ভূমি রেকর্ড, খাস জমি, পরিত্যক্ত ও অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ টাকা ছাড়া সেবা পায় না। এসব ক্ষেত্রে ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও কারো বিরুদ্ধে স্থায়ী কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়না। অভিযুক্তদের মধ্যে কাউকে অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলি করা হলেও নতুন কর্মস্থলে গিয়েও সে দুর্নতির সাম্রাজ্য গড়ে তুলে। আবার অনেকে বছরের পর বছর একই অফিসে চাকরি করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছে।বিশেষ করে অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও দালাল চক্র মিলেমিশে বিছিয়ে রেখেছে দুর্নীতির জাল। ঘুষের বিনিময়ে খাস জমি, পরিত্যক্ত জমি বা অর্পিত সম্পত্তি কারও নামে বন্দোবস্ত দিচ্ছে দুর্নীতিবাজ চক্র।এমনই এক অভিযোগ উঠেছে মিরপুর ভূমি অফিসে আউটসোর্সিং এ নিয়োগ প্রাপ্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ রাসেল মিয়া এর বিরুদ্ধে। মিরপুর ১৩ নাম্বার বাইশঠেক মোহাম্মদপুর সার্কেল ভূমি অফিস এ প্রশাসনিক কর্মকর্তার রুমে বসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তার সহাকারি হিসেবে কাজ করেন আউটসোর্সিং হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত কাম কম্পিউটার অপারেটর রাসেল মিয়া, রাসেল মিয়া হাবিবুর রহমানের কাছের ব্যক্তি হওয়ায় ওই রুমে সেবা নিতে আসা সকল গ্রাহক থেকে বিভিন্ন ফাইল আটকে রেখে কৌশলে ঘুষের টাকা হাতিয়ে নে রাসেল।মিরপুর ভূমি অফিসে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া সেবা মেলে না সেখানে।রাসেলের ঘুষ নেওয়া এমন একটি ভিডিও চিত্র আমাদের হাতে এসেছে। রাসেল এর বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এমন চিত্র পুরো মোহাম্মদপুর সার্কেল মিরপুর ভূমি অফিসজুড়ে।নাম না প্রকাশে সেবা নিতে আসা একাধিক গ্রহক বলেন রাসেল এর আচার ব্যবহার ভালো না। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না রাসেল,রাসেলকে টাকা না দিলে বিভিন্ন ছলচাতুরি করে কাগজ পাতি আটকে রাখে এতে করে নির্ধারিত সময়েও ভোগান্তিতে পোড়াতে হয়। বারবার ডেট দিয়েও কাজ হয় না আর টাকা দিলে কাজ হয়ে যা।এ বিষয়ে রাসেলের কাছে জানতে চাইলে রাসেল বলেন স্যারের সাথে কথা বলেন,তার স্যার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসিল্যান্ডের স্যারের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে মিরপুর ভূমি অফিস এর এসিল্যান্ড সহকারি ম্যাজিস্ট্রেট ভূমি মোহাম্মদপুর সার্কেল তানজিলা জান্নাত রেটিনা সাংবাদিক দের বলেন ঘটনা আমার জানা নেই তাদেরকে জিজ্ঞেস করে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না মিরপুর ভূমি অফিসে

আপডেট সময় : ০৯:২৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
36

নিজস্ব প্রতিবেদক :দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি অফিসগুলোর অন্যতম হচ্ছে ভূমি অফিস। ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতি ও হয়রানির যেন সীমা পরিসীমা নেই। ঘুষ ছাড়া এই অফিসে কোন সেবা পাওয়া মুশকিল। দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর কর্মকর্তা কর্মচারী ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে সেবা প্রার্থীরা রীতিমত অসহায়। ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতি চলছে প্রকাশ্যে।ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ সম্পাদন করেছে কেউ, এমন খবর শোনা যায় খুব কমই। ভূমি রেজিস্টেশন, নামজারি, ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি কর, ভূমি রেকর্ড, খাস জমি, পরিত্যক্ত ও অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ টাকা ছাড়া সেবা পায় না। এসব ক্ষেত্রে ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও কারো বিরুদ্ধে স্থায়ী কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়না। অভিযুক্তদের মধ্যে কাউকে অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলি করা হলেও নতুন কর্মস্থলে গিয়েও সে দুর্নতির সাম্রাজ্য গড়ে তুলে। আবার অনেকে বছরের পর বছর একই অফিসে চাকরি করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছে।বিশেষ করে অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও দালাল চক্র মিলেমিশে বিছিয়ে রেখেছে দুর্নীতির জাল। ঘুষের বিনিময়ে খাস জমি, পরিত্যক্ত জমি বা অর্পিত সম্পত্তি কারও নামে বন্দোবস্ত দিচ্ছে দুর্নীতিবাজ চক্র।এমনই এক অভিযোগ উঠেছে মিরপুর ভূমি অফিসে আউটসোর্সিং এ নিয়োগ প্রাপ্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ রাসেল মিয়া এর বিরুদ্ধে। মিরপুর ১৩ নাম্বার বাইশঠেক মোহাম্মদপুর সার্কেল ভূমি অফিস এ প্রশাসনিক কর্মকর্তার রুমে বসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তার সহাকারি হিসেবে কাজ করেন আউটসোর্সিং হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত কাম কম্পিউটার অপারেটর রাসেল মিয়া, রাসেল মিয়া হাবিবুর রহমানের কাছের ব্যক্তি হওয়ায় ওই রুমে সেবা নিতে আসা সকল গ্রাহক থেকে বিভিন্ন ফাইল আটকে রেখে কৌশলে ঘুষের টাকা হাতিয়ে নে রাসেল।মিরপুর ভূমি অফিসে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া সেবা মেলে না সেখানে।রাসেলের ঘুষ নেওয়া এমন একটি ভিডিও চিত্র আমাদের হাতে এসেছে। রাসেল এর বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এমন চিত্র পুরো মোহাম্মদপুর সার্কেল মিরপুর ভূমি অফিসজুড়ে।নাম না প্রকাশে সেবা নিতে আসা একাধিক গ্রহক বলেন রাসেল এর আচার ব্যবহার ভালো না। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না রাসেল,রাসেলকে টাকা না দিলে বিভিন্ন ছলচাতুরি করে কাগজ পাতি আটকে রাখে এতে করে নির্ধারিত সময়েও ভোগান্তিতে পোড়াতে হয়। বারবার ডেট দিয়েও কাজ হয় না আর টাকা দিলে কাজ হয়ে যা।এ বিষয়ে রাসেলের কাছে জানতে চাইলে রাসেল বলেন স্যারের সাথে কথা বলেন,তার স্যার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসিল্যান্ডের স্যারের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে মিরপুর ভূমি অফিস এর এসিল্যান্ড সহকারি ম্যাজিস্ট্রেট ভূমি মোহাম্মদপুর সার্কেল তানজিলা জান্নাত রেটিনা সাংবাদিক দের বলেন ঘটনা আমার জানা নেই তাদেরকে জিজ্ঞেস করে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।